বুধবার শান্তিনগর ফুটবল মাঠে, ডোমজুড় কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী উত্তম বেরার প্রচার সভায় বক্তব্য রাখেন মানিক সরকার, পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাত, কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, বালি কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। সভাপতিত্ব করেন গৌতম হালদার।
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বুধবার জনসভায় বলেন, ত্রিপুরায় মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি সরকার এসেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে, গরীব মানুষদের মধ্যে অর্থ বিলি করে, বেকার যুবকদের কাজ দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ত্রিপুরায় সরকার গঠন করেছে বিজেপি। আজ সেই রাজ্যের মানুষ প্রত্যক্ষ করছে কোনও বেকারের কাজ হয়নি, বরং কাজ হারিয়ে বহু নতুন বেকার তৈরি হয়েছে।
মানিক সরকার 'বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার' প্রসঙ্গ কটাক্ষ করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, 'বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার' -এর সুফল পেতে শুরু করেছে ত্রিপুরার জনগণ। এখন ত্রিপুরার মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে। মানুষ অর্ধাহারে দিনযাপন করছে। রেশনের খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছেনা। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছেন না গরীব মানুষ। আক্রান্ত মানুষ সুবিচার পাচ্ছেন না। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাজ কর্ম বাধা দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদেরও নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না 'বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার' পরিচালিত ত্রিপুরায়।
তিনি জানান, ত্রিপুরায় রাজ্য সরকারি কোনও কর্মী নিয়োগ না করে, বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। শিক্ষক শিক্ষিকারা কাজ হারিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে গেলে, তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করা হচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গের জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেই সুযোগে বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করতেই 'ডবল ইঞ্জিন সরকার' জাতীয় চটুল স্লোগান তুলেছে। সাধারণ মানুষকে বিজেপির এইসব প্রচারে আকৃষ্ট না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে মহিলা নিরাপত্তাহীনতার দিক তুলে ধরে, বৃন্দা কারাত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর বিজেপি, আরএসএস। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাস্ত করে, বিজেপির হাত থেকে বাংলা বাঁচাতে, সংযুক্ত মোর্চার সরকার গঠন করার দায়িত্ব এই রাজ্যের মানুষকেই নিতে হবে।
Recent Comments: