মঙ্গলবার সকালে মেদিনীপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে
আত্মসমর্পণ করেন পিনকন অর্থলগ্নি সংস্থার ডিরেক্টর মৌসুমি রায়। ৩ অক্টোবর পিনকন সংস্থার
ডিরেক্টর মনোরঞ্জন রায়, তাঁর স্ত্রী মৌসুমি রায় সহ মোট ১০ জনকে পিনকন মামলায় দোষী সাব্যস্ত
করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় মেদিনীপুর জেলা ও দায়রা আদালত। তারপর থেকেই ফেরার
ছিলেন মৌসুমি । খোঁজ না পেয়ে তাঁর নামে জারি করা হয় হুলিয়া। শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ
করেন তিনি।
আত্মসমর্পণ করে মৌসুমির দাবি তিনি কোভিড পজিটিভ। সেই
রিপোর্টও আদালতকে দেখান তিনি। জানা গিয়েছে ওড়িশার এক প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে করানো হয়েছ
এসেই রিপোর্ট। মৌসুমি কলকাতার বাসিন্দা। সেখান থেকে কীভাবে তিনি গা ঢাকা দিয়ে ওড়িশা
পৌঁছলেন, কীভাবে কোভিড পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও বিনা বাধায় মেদিনীপুর পৌঁছলেন সেই নিয়ে
প্রশ্নের মুখে পুলিশ এবং প্রশাসন।
মৌসুমিকে পর্যবেক্ষণে রেখে ফের করোনা পরীক্ষা করার নির্দেশ
দিয়েছে আদালত। সেই রিপোর্ট আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, দোষীরা ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের
জন্য আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল মৌসুমি আত্মসমর্পণ করার
পরেই জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। এর পরেই চাপের মুখে আত্মসমর্পণ করেন মৌসুমি।
২০১৭ সালে পিনকন অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে টাকা ফেরত
না দেওয়ার অভিযোগে মেদিনীপুরের খেজুরি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই সুত্র ধরেই
ওই বছর নভেম্বর মাসে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করা হয় পিনকন সংস্থার ডিরেক্টর মনোরঞ্জন
রায়কে।
Recent Comments: