রেসিপি: বাটার পমফ্রেট
টাইমলাইন
ভরে যাচ্ছে কাশফুলের মতো থোকা থোকা মেঘের ছবিতে। ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছে কমলা রোদ। কেউ ছাদ থেকে, কেউ অফিস ফেরত গাড়িতে বসে কয়েদ করেছে তাদের। তারপর শিউলি ফুলের মতো ছড়িয়ে দিয়েছে দেওয়ালে দেওয়ালে। ভক্তেরা ভিড় জমালেই তৃপ্তির হাসি ছড়িয়ে পড়ছে মুখমণ্ডলে। এই কর্মব্যস্ত জীবনে উৎসবের বহিঃপ্রকাশ চলছে এভাবেই। মহামারী, অর্থনৈতিক টালমাটাল এসব নিয়ে গত কয়েক মাস যাবত দফায় দফায়
আলোচনা চলতে থাকলেও বাঙালি দুর্গাপুজোর মরসুমে একই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে সে হতেই
পারে না। দুশ্চিন্তার উড়ন্ত পর্দাগুলোকে খানিক
সরিয়ে পুজোর আনন্দে মাততে চলেছে আপামর বাঙালি। নাহয় হল না প্যান্ডেলে ভিড়, হল না হোলনাইট লাইনে দাঁড়িয়ে
প্রতিমা দর্শন, তবু নিয়মবিধি মেনে ছোটখাটো আড্ডার আয়োজনের ব্যবস্থায় কিন্তু কেউ
পিছপা হয়নি।
গিন্নিরা
তাই এবার শাড়ি, গয়না, মেকআপ ছেড়ে বেশি মন দিয়েছেন কোন দিন কার পাতে কী পড়বে। এবারে
সাজসজ্জার প্রতিযোগিতা ছেড়ে সকলেই নাম লিখিয়েছে হাতা-খুন্তির প্রতিযোগিতায়। উৎসবের
রসুইঘর মানেই পদে পদে আমিষের সম্ভার। ষষ্ঠী, অষ্টমীতে নিরামিষের রেওয়াজ আছে অনেক
বাড়িতেই। বাকি দিনগুলোতে রেকাবিতে মাছ-মাংসের মেলা বসে।
নিউজ
আওয়ারের পাতায় আজ সেই মেলারই শোভা বাড়াতে হাজির ‘বাটার পমফ্রেট’। কী লাগবে দেখে
নেওয়া যাক।
১)
পমফ্রেট মাছ (বড় সাইজ): ৪টে (দু’ পিঠেই চিরে নেবেন)
২)
পাতিলেবু: আধা খানা রস করা
৩)
গোলমরিচের গুঁড়ো: ১ চামচ
৪) টক দই:
৪ চা চামচ ফেটানো
৫) কর্নফ্লাওয়ার:
৩ চামচ
৬) আদা,
রসুন, পিঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা পেস্ট: ২ চা চামচ
৭) নুন,
মিষ্টি: স্বাদানুসারে
৮)
অরিগ্যানো: ১ চামচ
৯) মাখন:
৭ বড় চামচ
প্রণালী:
পমফ্রেট মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে লেবুর রস ও গোলমরিচ দিয়ে আধ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। ফেটানো দইয়ে আদা-রসুন-পিঁয়াজ-কাঁচালঙ্কা পেস্ট, নুন মিষ্টি, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করতে হবে। ম্যারিনেটেড মাছগুলো ব্যাটারে ভিজিয়ে তাওয়ায় গরম হওয়া চার চামচ মাখনে ভেজে নিতে হবে। মাছগুলো ভাজা হলে আবার প্যানে দুই চামচ মাখন গরম করে মিশ্রণটি সামান্য জল মিশিয়ে পাতলা করে ঢেলে দিতে হবে। গ্রেভি ফুটে ঘন হয়ে এলে মাছগুলো দিয়ে দিতে হবে। নামাবার আগে গোলমরিচ, অরিগ্যানো ছড়িয়ে দিতে হবে। সার্ভিস প্লেটে মাছগুলো দিয়ে তার ওপর গ্রেভি দিয়ে আরো একটু মাখন ছড়িয়ে দিতে হবে।
ডাইনিং টেবিলের মাঝাখানে
স্যালাড সহ পরিবেশন করলেই গিন্নি জিতে যাবেন সেই দিনের কিচেন কুইনের খেতাবটি।
কর্তারা তৃপ্তির জয়গান গাইলে বাকি গিন্নিরা কিন্তু ঈর্ষার চাহনি লুকিয়ে আঙুলে লেগে
থাকা বাটার চাটতে ভুলবেন না কোনোমতেই। ইয়ে ওয়াদা রহা বাটার পমফ্রেট কা।
Recent Comments: